fbpx

চিরকুট

প্রিয় Sedial Erecious,

অবাক হয়েছ নিশ্চয়ই! অদ্ভূত এই নামে তোমায় সম্ভোদন করায়
অর্থহীন এই নামের পেছনের ইতিহাস তোমায় বলা হয়নি কখনো, আসলে বলার সুযোগ হয়নি, আমার মুঠোফোনে তোমার নামটা যে এভাবেই লিপিবদ্ধ- তা নিশ্চয়ই এতদিন মনে রাখোনি। যদিও একদিন এস.এম.এস.-এ জানিয়েছিলাম তোমায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়.
তাই- ওপাশ থেকে তেমন উৎসুক প্রশ্নও পাইনি
হঠাৎ তোমায় লিখতে বসেছি- ভালো আছো নিশ্চয়ই; ভালো থাকার মাঝে একধরণের আনন্দ আছে, অথচ ভালো না থাকলে নিজের অস্থিরতাকে আমি খুব উপভোগ করি
যার ফলাফল এই চিঠি!

অনেক দিন যোগাযোগ নেই, ফেসবুকে-ও তোমার স্ট্যাটাস আপডেট পাইনা অনেকদিন খুব যে মিস্ করি তাও নয়- তবু লেখার নেশা মাথায় চেপে ধরায় আর বসে থাকতে পারিনি; ভাবছো খুব অদ্ভূত আমি! নির্লজ্জের মত বলে দিচ্ছি মিস্ করিনা-
আট-দশটার ছেলের মত তোষামদি করতে পারি না, তাই হয়তো আমাদের সম্পর্কটা একটা জায়গায় এসে থেমে গেছে বন্ধুত্ব আর অন্য কিছুর মাঝামাঝিতে! আসলে আমাদের সম্পর্ক ছিল কি? সংজ্ঞায়িত করতে পারবে? আমি চেষ্টা করেছি কয়েকবার,
অভিধানে না পেয়ে হয়েছি ব্যর্থ

প্রথম দেখা হওয়ার স্মৃতি মনে আছে? তখন কি আমায় এতোটা আজব মনে হয়েছিল তোমার? অথবা এই কবি কবি ভাব? সর্বশেষ কথনে বলেছিলে সেদিন আস্থাশীল মনে হয়েছিল আমায়- কিন্তু তার প্রতিদান আমি দিতে পারিনি; তোমার অজান্তেই ভেঙ্গেছিলাম একবার! এরপর দুবার দেখেছ আমায়- প্রথমবার আমি আসলেই চিনতে পারিনি তোমায় পরিচয় দিলে সেদিন কথা হতো, পরের বার তো দুর্ভাগ্যের কাছে হার!
আবার দেখা হলে পরিচয় দিও- সরাসরি কথা বলার খায়েস হয়েছে আমার জানি এমন সুযোগ আসেনা বারবার; এখন আমি পাল্টে গেছি- সহজ কথা ঘুরিয়ে; অনেক মজা পাই- যদিও শ্রোতার কাছে এটা বিরক্তিকর!
একজনের লেখায় পড়েছিলাম
“আন্তঃজালিক সংসারের যাদেরকে খুব সরল
আর ভালো মনে করেছিলাম
তাদের কুটিলতা চমকানোর মত”
বুঝেছ?

দার্শনিক একটা ভাব নেয়ার চেষ্টা তখনো করতাম, তবে এখনকার মতো এতোটা সফল হতাম না বোক বনে যেতাম চুলে “নজরুল লুক” আনার প্রচেষ্টা সফল হয়নি কখনো অর্ধেকটা গিয়ে ক্ষান্ত হতে হয়েছে; তবে- সন্ধ্যায় সোডিয়াম বাতির নিচ দিয়ে হেঁটে যাই যখন, নিজেকে কেমন জানি দার্শনিক মনে হয়! মুঠোফোন নম্বর পাল্টেছো বোধহয় তিনটা নম্বরই অফ! চেষ্টা করেছিলাম দু-দিন কথা বলার রেকর্ড করা কন্ঠ বলেছিল- “চেষ্টা করুন আবার” প্রায় দু-বছর আগে, প্রতিদিনই ফোন করতাম তোমায়

একদিন ধরতে আবার পরদিন ধরতেনা আমি হতাম নিরুপায়!
বোকা ছিলাম- বুঝতাম না বিরক্ত হতে পরে দু’জনের কাছে জেনেছিলাম।
অতঃপর অভ্যাস বদল করলাম চাপা অভিমান নিয়ে দিন কাটিয়ে দিলাম..
কাউকে বিরক্ত করার চেয়ে চুপচাপ থাকাই প্রিয় হয়ে গেল।
তোমার জন্য একটা কবিতা লিখে দিতে বলেছিলে তুমি অনুবাদ করে নিবে,
পরে আবার না করে দিলে আপমানবোধ করলাম সাথে সাথে..বুঝতে দেইনি তোমায়;

“ভালো থেকো”

ইতি
সেই বিরক্তিকর প্রাণীটি।
from this facebook Page/Group : চিরকুট

Thanks for visiting our site : JACCHE.COM
We hope you can enjoy this site’s all articles videos and all our posts .
You can get more movies, music videos, articles and more best products here..
Stay with us…

And Like our Facebook page : ভালবাসা
To get notifications everyday
Share and comment your suggestions
and let us know about you, if you want..

আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ
আশা করছি আপনি আমাদের সাইটটি খুব ভালোভাবেই উপভোগ করতে পেরেছেন।

আরো এরকম পোস্ট পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন… আমাদের ফেইসবুক পেইজটিতে লাইক দিয়ে : ভালবাসা
আর আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদেরকে কমেন্ট সেকশনে।

ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.